প্রকাশিত: ২৯/১১/২০১৮ ৮:৫৪ এএম


নিউজ ডেস্ক::
কক্সবাজারের চার সংসদীয় আসনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দলের ৩৪ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৮ জন, কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১২ জন, কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৬ জন এবং কক্সবাজার-৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৮ জন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন অর্থাৎ গতকাল বুধবার পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ ৮ উপজেলার সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এসব মনোনয়ন জমা দেন।
এর মধ্যে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জাফর আলম, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হাসিনা আহমেদ, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মৌলভী মোহাম্মদ ইলিয়াছ, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী আলী আজগর, বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির প্রার্থী আবু মো: বশিরুল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী বদিউল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী তানিয়া আফরিন ও মুহাম্মদ ফয়সাল।
কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী, বর্তমান সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, বিএনপির মনোনীত প্রার্থী, সাবেক সাংসদ আলমগীর মুহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ ফরিদ, জামায়াতের প্রার্থী হামিদুর রহমান আজাদ (কারান্তরীন), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুহাম্মদ মুহিবুল্লাহ, ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী আবু ইউসুফ মুহাম্মদ মনজুর আহমদ, বিকল্প ধারা বাংলাদেশ এর প্রার্থী শাহেদ সরওয়ার, গণফ্রন্টের প্রার্থী আওয়ামীলীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্যের মনোনয়ন প্রার্থী পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. আনসারুল করিম, মহেশখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর ছিদ্দিক (কারান্তরীন), মো: জিয়াউর রহমান, এ এম মাসুদুল ইসলাম মাসুদ ও এনডিএম এর প্রার্থী মো: শহীদুল্লাহ।
কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজল, কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী মোহাম্মদ আমিন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মুফিজুর রহমান, মো: হাছন।
কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ আব্দুর রহমান বদির স্ত্রী শাহীন আক্তার চৌধুরী, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী, সাবেক সাংসদ ও হুইপ শাহজাহান চৌধুরী, বিএনপি মনোনিত প্রার্থী সাবেক ছাত্রদল নেতা ও বিএনপি সমর্থিত সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবি মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, মোহাম্মদ শোয়াইব, রবিউল হোছাইন, আবুল মনজুর, এম গফুর উদ্দিন।
গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মনোনয়নপত্র জমাদানকারী বেশির ভাগ প্রার্থীই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। ছোট দলগুলো নিয়ম মেনেই মনোনয়নপত্র জমা দিলেও বড় দলগুলো আচরণবিধি ভঙ্গ করেছে। কমিশনের বিধান অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দিতে প্রার্থীর সঙ্গে পাঁচজন সঙ্গী হতে পারবেন, কিন্তু কোনো কোনো প্রার্থী ২০ জন বা তারও বেশি নেতাকর্মী নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
গতকাল বেলা ১ টা ১০ মিনিটের দিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহীন আকতার চৌধুরী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের কাছে মনোনয়ন জমা দেন। এসময় তার সাথে ছিলেন কক্সবাজার ৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর শাহীন আকতার গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কোনো কথা না বললেও সাংসদ আব্দুর রহমান বদি বলেন, ‘আমরা কথা না বলে কাজ করতে চাই। আমি এলাকায় যে উন্নয়ন করেছি, যাদের জন্য করেছি, তারাই নির্বাচনে এর মূল্যায়ন করবে।’
এর আগে দুপুর পৌনে একটার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজল। এরআগে শহরের শহীদ সরণীস্থ হোটেল নিরিবিলি প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে রামু-সদরের বিভিন্ন এলাকার বিএনপি ও ঐক্যজোটের কয়েক হাজার নেতাকর্মী মিছিল সহকারে অংশ নেন। এসময় নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি এবং ধানের শীষ ও কাজলের পক্ষে ভোট চেয়ে শ্লোগান দেন। সমাবেশে বিএনপি প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজল নেতাকর্মীদের ভালবাসায় সিক্ত হন। মনোনয়নপত্র জমাদানপূর্ব ‘দোয়া মাহফিলে’ বিএনপির সাংসদ প্রার্থী লুৎফুর রহমান কাজল বলেন, ‘কোন ব্যাংক ডাকাত-লুটেরাকে জনগণ ভোট দেবে না। তাই তারা কেন্দ্র দখল করে আগের মতোই ভোট নিতে চায়। কিন্তু জনগণ এবার তাদের দুরভিসন্ধি কখনও সফল হতে দেবে না। ভোট কারচুপির চেষ্টা করলে তিনি হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে রাস্তায় শুয়ে পড়বেন বলে জানান।’

পাঠকের মতামত